এই প্রথম বাংলাদেশের আম যাচ্ছে চীনে
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২১-০৫-২০২৫ ০৭:২৫:১০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২১-০৫-২০২৫ ০৭:২৫:১০ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
চীনে প্রথমবারের মতো আম রপ্তানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী বুধবার (২৮ মে) প্রায় ৫০ টন আম দেশটিতে রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। এছাড়া কাঁঠাল ও লিচু রপ্তানির বিষয়েও ভাবছে সরকার। বুধবার (২১ মে) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান তিনি।
কৃষি সচিব বলেন, দেশভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে কীভাবে আমের রপ্তানি বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।
স্বাদে গন্ধে বহু দেশের মানুষের মন জয় করেছে বাংলাদেশের আম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের নাগরিকরা মূলত বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন এই ফলটি খুবই পছন্দ করেন। সৌদি আরব, কুয়েত ও কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশে উৎপাদিত রসালো এই ফলটির চাহিদা বাড়ছে।
পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন ও কানাডাতেও রয়েছে বাংলাদেশি আমের বহু ক্রেতা। ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদার কারণে ২০১৮ সালের পর বাংলাদেশের আম রপ্তানি ৪ গুণ বেড়েছে। এবারই প্রথম চীনে রপ্তানি করা হচ্ছে আম
সংবাদ সম্মেলনে ড. এমদাদ উল্লাহ আরো বলেন, গত বছর ধান আমদানি করতে হলেও, এ বছর আর তা প্রয়োজন হচ্ছে না। ডলার সংকটের কারণে এক সময় সারের ঘাটতি ছিল, তবে এখন সেই সমস্যা নেই। সরকার নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও এই সংকটের সফল সমাধান করেছে। স্মরণকালের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি শাকসবজি উৎপাদন হয়েছে এবং নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সরকার কৃষি খাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। কৃষিকে জনপ্রিয় করতে অ্যাপসের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়াও বিমান ভাড়া কমানোর লক্ষ্যে কার্গো বিমান ব্যবস্থার বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, আমাদের ডেল্টা প্ল্যান রয়েছে, সেখানে আমাদের কৃষিকে অঞ্চলভিত্তিক ছয়টি হটস্পটে ভাগ করা হয়েছে। ছয়টি হটস্পটকে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে পর্যালোচনা করে দেখেছি। যে নতুনত্বের কথা বলা হচ্ছে, মূল সংযোজন কীভাবে করা যায় এবং কীভাবে অগ্রসর হলে কৃষির সার্বিক উন্নয়ন হবে, সেটিকে আমরা নয়টি থিমেটিক এরিয়ায় শনাক্ত করেছি।
নয়টি থিমেটিক এলাকায় ২৫টি উপখাত নিয়ে ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যদি এগুলোকে বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে বিভিন্ন রকমের পরিকল্পনা ও প্রকল্পের প্রয়োজন। এজন্য সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও সেটা করতে গিয়ে আমাদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি নির্দিষ্ট কাঠামোগত পরিকল্পনা এখনো তৈরি করতে পারিনি। সেটি নিয়েই আমরা কাজ করছি।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স